পুলিশ, শব্দটা শুনলেই বাংলাদেশের মানুষের কাছে একটি আতঙ্কিত শব্দ মনে হয়। কিন্তু আর্থরিক ভাবে পুলিশ মানেই জনগনের বন্ধু এবং পুলিশের দায়িত্ব জনগনের দল মত নির্বিশেষে সেবা দিয়ে যাওয়া।
কিন্তু একদিন আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ব্যস্ততম শাহবাগ সড়কে রংসাইডে দিয়ে গেছেন। তাকে সহযোগিতা করেছে ওখানে দায়িত্বরত পুলিশ। ঠিক একদিন পর বিপরীত চিত্র হেয়ার রোডে। এবার এখানে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য তরিকুল আলম সুমন।
ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন…
রং সাইডে আসা ভিআইপির গাড়ির সামনে হাতজোড় করে দাঁড়িয়েছেন তিনি । এ দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করেছেন সেখানেই থাকা আরেকজন পথযাত্রী শ্যামল জাহাঙ্গীর হোসাইন।গত মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীর হেয়ার রোডের এ ঘটনা ফেসবুকে ঝড় তুলছে।
সাধারণত পুলিশ সদস্যরা ভিআইপি গাড়ি রংসাইডে যেতে সহযোগিতা করেন এমন অভিযোগ আসে। কিন্তু এবার ব্যাতিক্রম এ দৃশ্যের পর কমেন্টে ওই পুলিশ সদস্যকে ‘স্যালুট’ জানাচ্ছেন অনেকে।
সুমন দু’দিন আগে মন্ত্রীর পিএস পরিচয়ের এক উপ-সচিবের গাড়ি রং সাইড থেকে ফিরিয়ে দিয়ে বলেছিলেন, ‘রং সাইডে যাবেন না। দেশের যেকোন জায়গায় বদলি করে দিতে পারেন আমাকে’। এর আগেও সরকারের উচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তিদের গাড়ি তিনি সাহসী পদক্ষেপে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন।
হাতজোড় করে ফিরিয়ে দেয়ার ঘটনার পর ফেসবুকে একজন লিখেছেন, গত দু’দিন ধরে রংসাইডে আসা ভিআইপিদের এভাবে তিনি ফিরিয়ে দিচ্ছেন। আর এরপর আমরা যে হারে তাকে রেসপেক্ট দেখাচ্ছি, এখন ভয় হচ্ছে কবে যেনো শুনবো তাকে বান্দরবনের ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্ব পালনের জন্য বদলি করে দেওয়া হয়েছে।
শাহাদাত তানজিল নামে আরেকজন লিখেছেন, ‘এরকম ফেরত না পাঠালে উনারা কি করে বুঝবেন সাধারণ মানুষ প্রতিদিন কত কষ্ট আর কর্মঘণ্টা নষ্ট করে।’
আবার ফেসবুকে কয়েকজন ভিন্নভাবে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। এদের একজন লিখেছেন এভাবে ‘ছবি দেখে গর্বের চেয়ে বেশি লজ্জা লাগছে তার হাতজোড় দেখে। কেনো হাতজোড় করতে হবে? আইনের কোন কমতি ছিলো? নাকি ভি আই পি দের গাড়ি আটকানো যাবে না এমন কোন আইন আছে।’
আরেকজন বলেছেন, ‘লাইফে এই প্রথম কোন ট্রাফিক পুলিশ সদস্যকে রেসপেক্ট জানাই’।